Grameenphone Balance Transfer Service

Grameenphone Balance Transfer Service Activation System

এই সার্ভিসটি ব্যবহার করতে হলে আপনাকে প্রথমে Grameenphone এর Balance Transfer Service এ রেজিস্ট্রেশন করতে হবে।

১. কিভাবে রেজিষ্ট্রেশন করবেন?

প্রথমে আপনার মোবাইল এর মেসেজ অপশনে গিয়ে REGI টাইপ করে তা 1000 পাঠিয়ে দিন। একটু ধৈর্য্য ধরুন। এবার আপনি একটি Balance Transfer এর PIN Code (পাসওয়ার্ড) কনফারমেশন মেসেজ পাবেন।

২. কিভাবে Balance Transfer করবেন?

আপনার মোবাইলের Massage Option এ গিয়ে Type করুন BTR PIN Code Mobile No Amount তারপর Send করুন 1000 নাম্বারে।

BTR PIN Mobile No Amount   তারপর Send করুন 1000 নাম্বারে।
উদাহারন: BTR 123 01700000000 20  তারপর Send করুন 1000 নাম্বারে।

বি: দ্র: খেয়াল রাখবেন আপনার এই পিন কোডটি যেন অন্য কেউ না জানে। জানলে সে আপনার অজান্তে আপনার একউন্ট হতে টাকা সরিয়ে নিতে পারবে। তাই সকলের প্রয়োজন কিছুদিন পরপর এটি পরিবর্তন করা। নিচে পিন কোড পরিবর্তনের নিয়ম দেয়া হল।

Process of PIN Code Change: 

Type CPIN (space) OLDPIN (space) NEWPIN (space) NEWPIN.
Send 1000.

ভাইরাসের কারনে হিডেন হওয়া ফাইল উদ্ধার করুন !!

পেনড্রাইভ বা মেমোরি কার্ডের ফাইল অনেক সময় ভাইরাসের কারনে হিডেন হয়ে যায়। ফলে ফাইল বা ফোল্ডার দেখা যায় না কিন্তু জায়গা ঠিকই দখল করে রাখে। এতে অনেকে ভাবে ভাইরাসের কারনে ফাইলগুলো ডিলিট হয়ে গিয়েছে। আসলে ফাইলগুলো যেখানে যেভাবে ছিল সেভাবেই আছে শুধু ভাইরাসের কারনে এগুলো দেখা যাচ্ছে না। এছাড়াও এই ফোল্ডার গুলোর নামে EXE ফাইল তৈরী হয়, এগুলোকে ডিলিট করে দিতে হবে।
এরকম সমস্যা হলে প্রথমে run এ গিয়ে cmd লিখে enter চাপুন। এবার আপনার পেনড্রাইভ বা মেমোরি কার্ড যে ড্রাইভে আছে তার অক্ষর(যেমন I: , J:, K: ) টাইপ করুন।এখন নিচের কমান্ড লিখে enter চাপুন-
attrib -s -r -h -a /s /d
আপনার সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে এতেই।
এই কমান্ড গুলোর অর্থ হচ্ছে …..
এখানে attrib মানে attribute এর সংক্ষিপ্ত রুপ।
s = system file or super hidden
r = read only
h = hidden
a = archive
/d = directory
/s = sub directory

আর যদি বেশী কষ্ট করতে মন না চায় তাহলে এই লংকে যান। ইউ এস বি আনহাইড সফটওয়ারটি ডাউনলোড় করে দেখুন কি মজা।

How to Change PC Background Color & Wallpaper

Change desktop color in Windows XP

scr shot 2First right click on the desktop and then left click on Properties from the menu that appears.

The Display properties dialogue box will appear, click on the Desktop tab as shown below.

 

Next, click on the small arrow next to the current background colour (as seen above) to view available colours.

A small selection of colours will appear, these are basic colours, if you want a more varied selection then click on other and you will be presented with a wider choice.

When you have chosen a colour you can preview it by clicking on the apply button, when you are happy with your choice simply click the OK button.

note: the background colour will only change if don’t have a background image on your desktop. 

Change your desktop background (wallpaper)

Your desktop background (also called wallpaper) can be a digital picture from your personal collection or one that comes with Windows. You can also select a color for your desktop background or use a color to frame your background picture.
Picture of desktop backgrounds that come with Windows Windows comes with lots of desktop background choices

To change the desktop background

  1. Open Desktop Background by clicking the Start button Picture of the Start button, clicking Control Panel, clicking Appearance and Personalization, clicking Personalization, and then clicking Desktop Background.
  2. Click the picture or color you want for your desktop background.
    If the picture you want to use is not in the list of desktop background pictures, click the Picture location down arrow to view other categories, or click Browse to search for the picture on your computer. When you find the picture you want, double-click it. It will become your desktop background and appear in the list of desktop backgrounds.
    Picture of the Picture Location menuLook for pictures in other locations on your computer
  3. Under How should the picture be positioned, choose to have the picture fit the screen, tile, or be centered on the screen, and then click OK.

এমএস ওয়ার্ল্ড ২০০৭ ও ২০১০ ইউজারদের জন্য টিপস

যারা এমএস ওয়ার্ল্ড ২০০৩ বা পূর্বের ভার্শন ইউজ করে অভ্যস্ত তাদের ওয়ার্ড ২০০৭/২০১০ বুঝতে প্রায়ই সমস্যায় পরতে হয় । নিচে কিছু সমস্যা নিয়ে আলোচনা করব আশা করি আপনারা কিছুটা হলেও উপকৃত হবেন ।
ওয়ার্ড ২০০৭ / ২০১০ এ ফুটারে File name & Path দিতে হলে…
অফিস ২০০৩ বা পূর্বের ভার্শনে কোন ডকুমেন্টের ফুটারে ফাইলের নাম এবং লোকেশান দেয়া খুব সহজ ছিল। Header & Footer থেকে Auto Text এর File name & path এ ক্লিক করলেই চলে আসতো। কিন্তু
অফিস ২০০৭ বা পরের ভার্শনে এটা খুঁজে পাওয়া একটু কঠিন। নিম্নের পদ্ধতি অনুসর করে এটা আমরা করতে পারি:
Insert Tab এর Ribbon হতে Footer এ ক্লিক করতে হবে।
Edit Footer এ ক্লিক
Quick Parts হতে Field এ ক্লিক
বামপাশের তালিকা হতে FileName এ ক্লিক করে ডানপাশে Add Path to Filename এর বামপাশে টিক চিহ্ন দিয়ে Ok করলেই
ফাইলের নাম এবং লোকেশান ফুটারে চলে আসবে।
ওয়ার্ড ২০০৭/২০১০ এ সমীকরণের ফন্ট পরিবর্তন করতে হলে…
অফিস ২০০৩ বা পূর্বের ভার্শনে সমীকরণ লিখতে চাইলে আমরা Insert Menu >> Object >> Microsoft Equation 3.0 হতে লিখতে পারি। লিখার পর সিলেক্ট করে Style Menu হতে Other এ ক্লিক
করে Font সিলেক্ট করে দিলেই হবে। Size Menu হতে Other এ ক্লিক করে Font Size লিখে দিয়ে ওকে করলেই ফন্ট বড় বা ছোট করা যায়।
কিন্তু অফিস ২০০৭ বা পরের ভার্শনে সমীকরণ লিখা বা ফন্ট পরিবর্তন করার নিয়মটা একটু ভিন্ন।
Insert Tab এর Ribbon এর ডানপাশে Equation বাটনে ক্লিক করে প্রয়োজনীয় সমীকরণটি লিখতে হবে। ফন্ট পরিবর্তন করতে চাইলে Normal Text এ ক্লিক করে সিলেক্ট করতে হবে। এবার Home Tab হতে ফন্ট এবং ফন্টের সাইজ সিলেক্ট করে দিতে হবে।
ওয়ার্ডে (২০০৩, ২০০৭) জলছাপ দিতে চাই
কোন কোন ডকুমেন্ট তৈরি করার সময় জলছাপ দেয়ার প্রয়োজন হতেই পারে। আর সেটা করতে হলে
অফিস ২০০৩ বা পূর্বের ভার্শনে প্রথমে Edit Menu হতে Header & Footer এ ক্লিক ডায়ালগ বক্সটি
আসার পর Word Art হতে যা প্রয়োজন তা লিখে নির্দিষ্ট যায়গায় বসিয়ে দিয়ে Header & Footer ডায়ালগ বক্স Close করে দিলেই তা মূল লেখার পেছনে চলে যাবে এবং জলছাপের আকার ধারণ করবে।
অফিস ২০০৭ বা পরের ভার্শনে জলছাপ দিতে চাইলে Page Layout Tab এ ক্লিক করে Watermark বাটনে ক্লিক করতে হবে। যে ডায়ালগ বক্স আসবে সেখান থেকে যে ষ্টাইলগুলো আছে সেগুলো দিয়ে যদি কাজ হয় তাহলে সেটির উপর ক্লিক করলে মূল পাতায় সেটি চলে আসবে এবং জলছাপ দেখা যাবে। কিন্তু যদি ইচ্ছেমতো লেখা দিতে চাই তাহলে Watermark বাটনে ক্লিক করে ডায়ালগ বক্স হতে Custom watermark এ ক্লিক করতে হবে। ডায়ালগ বক্স হতে কোন ছবিকে জলছাপ আকারে দিতে চাইলে Picture Watermark সিলেক্ট করে Select Picture এ ক্লিক করে পছন্দের ছবিটি দেখিয়ে দিতে হবে। আর যদি কোন লেখাকে জলচাপ আকারে দেখতে চাই তাহলে Text Watermark সিলেক্ট করে Text এর ঘরে নির্দিষ্ট লেখাটি লিখে Font এবং Font Size নির্ধারন করে Ok করতে হবে। আর যদি কোন বাংলা লেখাকে জলছাপ দিতে হয় তাহলে Watermark বাটনে ক্লিক করার পূর্বে তা ডকুমেন্টের ভিতর লিখে Cut অথবা Copy করে নিতে হবে। তারপর Text এর ভিতর Paste করে বাংলা ফন্ট ফছন্দমতো দিয়ে Ok করলেই আপনার পছন্দের জলছাপ তৈরি হয়ে যাবে। সোজাসুজি লেখা চাইলে Horizontal আর আড়াআড়ি লেখা চাইলে Diagonal সিলেক্ট করে দিতে হবে।

সাইবার হামলা ঠেকাতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও ব্যাংকের জন্য আলাদা ই-মেইল ব্যবহারের পরামর্শ

সাইবার হামলা ঠেকাতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও ব্যাংকের জন্য আলাদা ই-মেইল ব্যবহারের পরামর্শঅ্যান্টি-ভাইরাস নির্মাতা প্রতিষ্ঠান সিমেনটেক করপোরেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সানতানু ঘোষ সাইবার হামলা ঠেকাতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও ব্যাংকের জন্য আলাদা ই-মেইল ব্যবহারের পরামর্শ দেন। এর মাধ্যমে ব্যবহারকারীর আর্থিক তথ্যগুলো নিরাপদে থাকবে বলে জানান তিনি। খবর টেক টুর।
সাংবাদিকদের দেয়া এক সাক্ষাত্কারে ঘোষ বলেন, ব্যবহারকারীদের সামাজিকমাধ্যম ব্যবহারে সতর্ক থাকতে হবে। সামাজিকমাধ্যম এবং ব্যাংকিংয়ের জন্য ভিন্ন ইমেইল ব্যবহার করলে তথ্য সুরক্ষিত থাকবে।
তিনি আরও বলেন, সামাজিকমাধ্যমগুলো যেমন ফেসবুকের বন্ধুদের সঙ্গে এবং খুব বেশি পরিচিত নয় এমন কারও সঙ্গে তথ্য বিনিময়ে সতর্ক থাকতে হবে। এ ধরনের তথ্য প্রদানে সাইবার হামলার শিকার হওয়ার ঝুঁকি বাড়ে।
এ সময়ে তিনি বলেন, সাইবার আক্রমণকারীরা ম্যালওয়ারের মাধ্যমে ব্যবহারকারীর ইমেইল পরিচয় ব্যবহার করে প্রয়োজনীয় যেমন ক্রেডিট কার্ডের তথ্য চুরি করে নিতে পারে।
ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের জন্য আরেকটি প্রয়োজনীয় তথ্য হচ্ছে ই-মেইলে অথবা সামাজিকমাধ্যমগুলোয় সন্দেহজনক কোনো লিংকে ক্লিক না করা। এটিও আর্থিক তথ্য পাওয়ার একটি অন্যতম উপায়। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ই-মেইল এবং সামাজিকমাধ্যমগুলোয় ম্যালওয়ার পাঠিয়ে প্রয়োজনীয় তথ্য চুরি করার চেষ্টা করা হয়। ম্যালওয়ারে জনপ্রিয় অভিনেত্রী ক্যাটরিনা কাইফের নাম ব্যবহার করে একটি ভিডিও ছাড়া হয়েছিল ভারতের ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের মধ্যে। পরে জানা যায় এ ম্যালওয়ারের মাধ্যমে ব্যবহারকারীদের ব্যক্তিগত তথ্য বের করে নিয়েছিল হামলাকারীরা।
সাইবার নিরাপত্তা সম্পর্কে বলতে গিয়ে ঘোষ পাসওয়ার্ড-সম্পর্কিত কিছু পরামর্শ দেন। অনেকেই পাসওয়ার্ড নির্বাচনে স্বামী বা স্ত্রীর নাম, তাদের জন্ম তারিখ অথবা বিয়ের তারিখ, নিজের জন্ম তারিখ ব্যবহার করেন। এসব তথ্য আক্রমণকারীরা খুব সহজেই পেতে পারে। তাই পাসওয়ার্ড নির্বাচনে এসব তথ্য না ব্যবহার করাই ভালো বলে মনে করেন তিনি। কয়েক বছর ধরে ম্যালওয়ারের মাধ্যমে তথ্য চুরির চেষ্টা বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে বলে জানান তিনি।
সর্বশেষে ঘোষ বলেন, ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানগুলো ইন্টারনেট ব্যবহার করলেও নিরাপত্তার বিষয়ে তেমন সতর্ক নয় বলে এসব প্রতিষ্ঠান খুব সহজেই আক্রমণের শিকার হয়। ইন্টারনেটের বিস্তার হলেও ব্যবসায়ীদের ম্যালওয়ার সম্পর্কে সতর্ক না হওয়ায় সাইবার হামলা বেশি হচ্ছে।

ফায়ারফক্সে নির্দিষ্ট ছবি বড় করে দেখুন

ফায়ারফক্সে নির্দিষ্ট ছবি বড় করে দেখুনজনপ্রিয় ওয়েব ব্রাউজার মজিলা ফায়ারফক্সে কোন পাতার লেখা (ছবিসহ) বড় করে দেখতে Ctrl চেপে + বা ছোট করে দেখতে Ctrl এবং – চাপতে হয় আর মূল সাইজে আনতে Ctrl এবং ০ চাপতে হয়। কিন্তু শুধু ছবিটি বড় করে দেখার কোন ব্যবস্থা নেই। তবে একটি এ্যাড-অন্স দ্বারা নির্দিষ্ট যেকোন ছবি ছোট বা বড় করে বা রৌটেট করেও দেখা যাবে।
এ্যাড-অন্সটি https://addons.mozilla.org/en-US/firefox/addon/ima…ge-zoom/ থেকে ইনস্টল করা যাবে। এ্যাড-অন্সটি ইনস্টল করে ফায়ারফক্স রিস্টার্ট করুন। এবার যে ছবিটি ছোট বা বড় করতে চান তার উপরে মাউসের ডান বাটন ক্লিক করে Zoom Image এ ক্লিক করে নির্দিষ্ট পারসেন্টের উপরে ক্লিক করুন। আর রৌটেট করতে চাইলে ছবিটির উপরে মাউসের ডান বাটন ক্লিক করে Rotate Image থেকে রৌটেট করতে পারেন। এই এ্যাড-অন্সটি মেইল ক্লাইন্ট মজিলা থান্ডারবার্ডেও ব্যবহার করা যাবে।

ওয়েবে টি২০ ক্রিকেট ওয়ার্ল্ড কাপ


টি২০ বিশ্বকাপ উপলক্ষ্যে বিশেষ ক্রিকেট কুইজের আয়োজন করেছে ক্রিকেট বিষয়ক বাংলাদেশ ভিত্তিক ওয়েবসাইট আইসিসি ওয়ার্ল্ড ক্রিকেট ডট নেট। উক্ত ওয়েব সাইটটির ফেসবুক ফ্যানপেজ এ প্রতিদিন কুইজ এর প্রশ্নে সঠিক উত্তর দিয়ে এবং প্রশ্নগুলো সর্বোচ্চবার শেয়ার করার মাধ্যমে পুরষ্কার জয়ের সুযোগ রাখা হয়েছে। পুরো টুর্নামেন্ট চলাকালীন সর্বোচ্চবার ফ্যানপেজ এ এক্টিভ থাকার জন্য একজন ভাগ্যবান ফ্যানকে ম্যান অব দ্যা টুর্নামেন্ট পুরষ্কার হিসেবে একটি ১৬ গিগাবাইট মোবাইল ডিস্ক প্রদান করা হবে। উল্লেখ্য, টি২০ বিশ্বকাপ চলাকালীন খেলার সর্বশেষ খবর ও স্কোর জানা যাবে উক্ত সাইটটিতে। সাইটটির ঠিকানা:www.iccworldcricket.net

আউটসোর্সিং করে রংপুরের চার যুবক স্বাবলম্বী

তথ্যপ্রযুক্তিভিত্তিক কার্যক্রমকে এসএমই খাতের অন্তর্ভুক্ত করে এর উন্নয়নে ঋণ ও প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদানের পদক্ষেপ নিয়েছে সরকার। কর্মসংস্থান সৃষ্টিতেও এ খাতের অবদান ক্রমে বাড়ছে। আউটসোর্সিং করে রংপুরের চার যুবক এখন স্বাবলম্বী। দেশে বসেই তারা আয় করছেন বৈদেশিক মুদ্রা। বাণিজ্যিকভাবে পরিচালনা করছেন আউটসোর্সিংয়ের প্রতিষ্ঠান। তারা হলেন, আউটসোর্সিং কোম্পানি ক্লিপিং পাথ ডিজাইনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আহসানুর রহমান দোলন, রংপুর সফটের পরিচালক আমিরুল ইসলাম রাজিব, আমান ওয়েবের পরিচালক আমানুর রহমান সুমন এবং ক্লিপিং বিডি ডটকমের পরিচালক বেলাল হোসেন।
শ্রম ও মেধাকে কাজে লাগিয়ে বৈধভাবে তারা রংপুরের মতো পশ্চাত্পদ জনপদে থেকে প্রতি মাসে লক্ষাধিক টাকা আয় করছেন। সে আয়ের সবটুকুই বৈদেশিক মুদ্রা। আধুনিক তথ্যপ্রযুক্তিনির্ভর এ আয়ের পথটির নাম ‘আউটসোর্সিং’।
তারা দাবি করছেন, বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রা উপার্জনের প্রধান উত্স তৈরি পোশাক রফতানি হলেও সঠিক পৃষ্ঠপোষকতা পেলে আগামী এক দশকে সে জায়গা দখল করতে সক্ষম হবে আউটসোর্সিং। তবে দক্ষ জনবলের অভাব, প্রয়োজনমাফিক ব্যান্ডউইথ ও দ্রুত গতির ইন্টারনেট সংযোগের অভাব, ইন্টারনেট সংযোগ আপ ডাউন করা, ব্যান্ডউইথের উচ্চমূল্য, বিদেশ থেকে টাকা আনার জন্য বিশ্বের বিভিন্ন দেশে প্রচলিত ইলেকট্রনিক মানি ট্রান্সফার সিস্টেম (পেপ্যাল) না থাকা, নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ না থাকা এবং আউটসোর্সিং নিয়ে প্রতারণার কারণে সম্ভাবনাময় খাতটির কাঙ্ক্ষিত অগ্রগতি হচ্ছে না।
ক্লিপিং পাথ ডিজাইনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আহসানুর রহমান দোলন বলেন, বাংলাদেশে তৈরি পোশাকশিল্পে সফলতার পেছনে রয়েছে সস্তা শ্রম। একইভাবে সে শ্রম কাজে লাগিয়ে আউটসোর্সিংও হতে পারে দেশের বেকারত্ব দূরীকরণ ও অর্থনৈতিক উন্নয়নের প্রধান হাতিয়ার। এ জন্য প্রয়োজন তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার জানা।
তিনি বলেন, ওয়েবসাইট ডেভেলপমেন্ট, ডাটা এন্ট্রি, অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সাপোর্ট, ই-মেইল হ্যান্ডলিং, গ্রাফিক ডিজাইন, লোগো ডিজাইন, আরটিকেল রাইটিংসহ অসংখ্য কাজ রয়েছে- যেগুলো কম্পিউটারে করা হয়। সে কাজগুলো ইউরোপ-আমেরিকাসহ উন্নত দেশগুলোয় করতে যে পরিমাণ খরচ হয়, এ দেশের সস্তা শ্রমের কারণে খরচ হয় তার অনেক কম। এতে উভয় দেশই লাভবান হয়। তাই খরচ বাঁচাতে উন্নত দেশের লোকেরা ওই সব কাজ করার জন্য ওয়েবসাইটে কর্মী আহ্বান করে। ইন্টারনেটের কল্যাণে বিশ্বের যেকোনো প্রান্ত থেকে ঘরে বসে যে কেউ কাজটি করে ইন্টারনেটের মাধ্যমে কাজ জমা দিয়ে এর মাধ্যমেই তার কাজের মজুরি গ্রহণ করতে পারেন। মজুরি নিয়ে দরকষাকষি করতে পারেন। এর নামই ‘আউটসোর্সিং’। যারা নিজের পছন্দমতো কাজ বেছে নিয়ে করেন, এ ক্ষেত্রে তাদেরই বলা হয় কন্ট্রাক্টর বা ফ্রিল্যান্সার।
তিনি বলেন, ইন্টারনেটে প্রতিদিন প্রচুর কাজের টেন্ডার হয়, যেগুলো বাংলাদেশের সব বেকার মিলে করলেও শেষ হবে না। প্রতিদিনই বাড়ছে এসব কাজের পরিমাণ। বিভিন্ন কাজের জন্য নানা স্তরের শিক্ষা, দক্ষতা ও যোগ্যতার প্রয়োজন। তবে এমন কিছু কাজ সেখানে আছে, যা কম্পিউটার ও ইন্টারনেট ব্যবহার বিষয়ে মোটামুটি জ্ঞান থাকলে যে কেউ তা করে মাসে ৩০-৪০ হাজার টাকা রোজগার করতে পারেন।
তিনি জনান, তার প্রতিষ্ঠান ক্লিপিং পাথ ডিজাইনে ওয়েব ডেভেলপমেন্ট, গ্রাফিক ডিজাইন, লোগো ডিজাইন, ইমেজ মাসকিং, ক্লিপিং, ফটো এডিটিংসহ যাবতীয় ছবির কাজ হয়। তার সব ক্লায়েন্ট আমেরিকা, কানাডা ও ইউরোপের বিভিন্ন দেশের। একটি মাত্র কম্পিউটার আর বিটিসিএলের একটি ইন্টারনেট লাইন দিয়ে দেড় বছর আগে তিনি কাজ শুরু করেন। কাজ বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মাসে মাসে কর্মীর সংখ্যা বেড়ে গিয়ে এখন তার অধীনে কাজ করেন ৩০ জন। এতে তার মাসিক আয় ৫ লক্ষাধিক টাকা। কর্মচারী, অফিস ভাড়া ও অন্যান্য খরচ মেটানোর পরও প্রতি মাসে তার হাতে থাকে দেড় লক্ষাধিক টাকা। তার বিশ্বাস, আগামী দুই বছরে তিনি আর ১০০ বেকারকে কাজ দিতে পারবেন। আগামী এক দশকে এক হাজার লোকের কর্মসংস্থান সৃষ্টি করার লক্ষ্য নিয়ে তিনি কাজ করে যাচ্ছেন।
তিনি দুঃখ করে বলেন, সরকারের অজ্ঞতার কারণে অথবা আন্তরিকতার অভাবে ফ্রিল্যান্সার বা কন্ট্রাক্টররা নানা সমস্যায় ভুগছেন। ফলে সম্ভাবনাময় খাতটি থেকে কাঙ্ক্ষিত ফল পাচ্ছেন না তারা। প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে দেশ। তাদের প্রধান সমস্যাগুলো হলা, প্রয়োজনমাফিক ব্যান্ডউইথ ও দ্রুতগতির ইন্টারনেট সংযোগের অভাব, ইন্টারনেট সংযোগ আপ ডাউন করা, ব্যান্ডউইথের উচ্চমূল্য, বিদেশ থেকে টাকা আনার জন্য বিশ্বের বিভিন্ন দেশে প্রচলিত ইলেকট্রনিক মানি ট্রান্সফার সিস্টেম না থাকা, নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ না থাকা ইত্যাদি।
তিনি বলেন, ছবির কাজ ও ওয়েবের কাজ করতে গেলে ১০ এমবিপিএস ইন্টারনেট লাইনের প্রয়োজন হয়। পাঁচ এমবিপিএস লাইন দিয়েও কাজ চালানো যায়। কিন্তু রংপুরে একমাত্র বিটিসিএল দিন-রাতে এক এমবিপিএস এবং শুধু রাতে দুই এমবিপিএস শেয়ারড লাইন দিয়েছে, যা অত্যন্ত কম এবং ধীরগতির। আবার মাঝে মধ্যে বেশকিছু সময় লাইন থাকে না বা খারাপ থাকে। ফলে অনেক সময় কাজ ডেলিভারি দিতে দেরি বা ডেটলাইন ফেল হয়। এতে ক্লায়েন্ট বিরক্ত হয়ে কাজ দেয়া বন্ধ করে দেয়। অন্যদিকে ইন্টারনেট সার্ভিস প্রভাইডার (আইপিএস) ব্যবসায়ীরা রংপুরে একটি এক এমবিপিএস (ডেডিকেটেড) লাইনের বিল নিচ্ছে প্রতি মাসে ২৫ হাজার টাকা, যা কোনোভাবেই যুক্তিসঙ্গত নয়। অথচ বিটিসিএল পাঁচ এমবিপিএসের লাইন দিলে কোনো সমস্যাই থাকে না। তাতে গ্রাহকের খরচও ৩-৪ হাজার টাকার বেশি হবে না।
দোলন বলেন, সবচেয়ে বড় সমস্যা হয় বিদেশ থেকে কাজের বিল আনতে। পৃথিবীর প্রায় সব উন্নত দেশে সর্বাধিক ব্যবহূত ও নির্ভরযোগ্য ইলেকট্রনিক মানি ট্রান্সফার করার মাধ্যম হচ্ছে পেপ্যাল। অধিকাংশ ক্লায়েন্ট পেপ্যাল অ্যাকাউন্ট ছাড়া পেমেন্টই দিতে চায় না। অথচ বাংলাদেশের কোনো ব্যাংকের সঙ্গে পেপ্যালের কোনো লেনদেন নেই। কাজেই আমাদের বাধ্য হয়ে বিদেশে অবস্থানরত পরিচিত কারও পেপ্যাল অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করতে হয়। তাতে ক্ষেত্রবিশেষে ৩০ থেকে ৪০ ভাগ অ্যাকাউন্ট হোল্ডারকেই কমিশন দিতে হয়। আবার টাকাটি খোয়া যাওয়ারও ভয় থাকে। তারপর ওয়েস্টার্ন ইউনিয়ন বা অন্য কোনো উপায়ে সে টাকা দেশে আনতে আরও কিছু অর্থ ও সময় ব্যয় হয়। অর্থাৎ আমরা আয় করছি বৈধভাবে, কিন্তু পাওনা টাকা সংগ্রহ করছি অবৈধ পথে।
সরকার উদ্যোগ নিয়ে একদিনেই দেশের বিভিন্ন ব্যাংকের সঙ্গে পেপ্যালের লেনদেন করার সুযোগ সৃষ্টি করতে পারে। এতে হাজার হাজার ফ্রিল্যান্সার উপকৃত হবে। সরকারের রাজস্ব বাড়বে।
আহসানুর রহমান দোলন কারমাইকেল কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করার পর ভর্তি হন ভারতের ইন্দিরা গান্ধী বিশ্ববিদ্যালয়ে কম্পিউটার সায়েন্স বিষয়ে। ভারত থেকে লেখাপড়ার পাঠ চুকিয়ে দেশে আসার পর বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা আশার আইটি বিভাগে সাপোর্ট ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন। সেখান থেকে ঢাকায় আউটসোর্সিং কোম্পানিতে যোগ দেন তিনি। সেখানে কাজ করার সময়ই মাথায় আসে তার তথ্যপ্রযুক্তি জ্ঞান ও অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে তিনি নিজেই এ ধরনের একটি প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলতে পারেন।
একপর্যায়ে ওই চাকরি ছেড়ে দিয়ে এক চাচাকে সঙ্গে নিয়ে তার টাকায় ঢাকার উত্তরায় ক্লিপিং পাথ সেন্টার নামে একটি আউটসোর্সিং কোম্পানি দাঁড় করান। সেখানে সাফল্যের পর রংপুর এলাকায় নিজের একটি প্রতিষ্ঠান গড়ার স্বপ্ন নিয়ে চলে আসেন রংপুরে। নিজের পরিশ্রমের টাকায় কেনা একটি ল্যাপটপ আর মামার কাছে সামান্য কিছু টাকা ধার নিয়ে দোলন রংপুরের মুন্সীপাড়ায় একটি ভাড়া বাড়িতে শুরু করেন আউটসোর্সিংয়ের কাজ। তারপর তাকে আর ফিরে তাকাতে হয়নি। বর্তমানে তার অফিসে ২০টি কম্পিউটারে ৩০ কর্মী পালাক্রমে দিন-রাত ২৪ ঘণ্টা কাজে করছে। সপ্তাহের সাত দিন এবং বছরের ৩৬৫ দিন তাদের অফিসের কাজ চলে সেখানে।
রংপুরে আউটসোর্সিং কোম্পানি খুলে বৈদেশিক মুদ্রা উপার্জন আর কর্মসংস্থানের স্বর্ণ দুয়ার খুলে দিয়েছেন রংপুরের আরেক যুবক আমিরুল ইসলাম রাজিব। দুই বছর আগে রংপুরের গুপ্তপাড়ায় স্থাপিত তার কোম্পানি রংপুর সফটে কাজ করে ৪০ কর্মী। এ ছাড়া রংপুর শহরের বিভিন্ন এলাকায় তার সহযোগিতায় গড়ে উঠেছে তার কোম্পানির আরও ১০টি কেন্দ্র। সেখানে সব মিলে প্রায় ১৫০ কর্মী কাজ করেন, যারা প্রত্যেকেই প্রতি মাসে কমপক্ষে ২০ থেকে ৩০ হাজার টাকা আয় করেন। এদের মধ্যে কেউ ওয়েব ডেভেলপার, কেউ আবার সাধারণ ডাটা এন্ট্রি অপারেটর।
রাজিব জানান, কেন্দ্রগুলো থেকে তিনি কোনো টাকা নেন না। কেন্দ্রগুলোয় যারা কাজ করেন, কেন্দ্র পরিচালনার খরচ বাদ দিয়ে বাকি টাকা তারাই নেন। তিনি কেন্দ্রগুলো গড়ে তুলেছেন শুধু রংপুরের বেকারদের জন্য কর্মসংস্থান সৃষ্টির মহৎ উদ্দেশ্য নিয়ে।
সবচেয়ে মজার ব্যাপার হলো, আউটসোর্সিংয়ে আগ্রহী ফ্রিল্যান্সারদের তিনি সপ্তাহে তিন দিন বিনা মূল্যে প্রশিক্ষণ দেন। তিনি জানান, দুই বছরে ২০০ ফ্রিল্যান্সার তৈরি করেছেন। রংপুরে দুই হাজার ফ্রিল্যান্সার তৈরি করার লক্ষ্য নিয়ে তিনি কাজ করছেন। তিনি চারটি সাইটে কাজ করেন- ওডেক্স, ই-ল্যান্সার, ফ্রিল্যান্সার এবং গুরু ডটকমে। গত দুই বছরে তার কোম্পানি দেড় কোটি টাকার বেশি বৈদেশিক মুদ্রা আয় করেছে বলে তিনি জানান।
রাজিব অভিযোগ করেন, বেশকিছু প্রতিষ্ঠান ওয়েবসাইট খুলে আউটসোর্সিংয়ের নামে প্রতারণার ফাঁদ পেতে বসেছে দেশ-বিদেশের কয়েকটি চক্র। এদের কারণে আউটসোর্সিং সম্পর্কে মানুষের মধ্যে ভ্রান্ত ধারণা সৃষ্টি হচ্ছে, যা এ খাতের অগ্রযাত্রায় অন্তরায় হয়ে দাঁড়াচ্ছে।
২০০৮ সালে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কম্পিউটার সায়েন্সে মাস্টার্স করার পর ঢাকার ডিজিটাল বাংলাদেশ নামে একটি আউটসোর্সিং কোম্পানিতে চাকরি নেন তিনি। সেখানে কিছু দিন কাজ করার পর নিজেই কোম্পানি দেয়ার স্বপ্ন নিয়ে রংপুরে চলে আসেন। কিন্তু সমস্যা হয়ে দাঁড়ায় মূলধন নিয়ে।
রাজিব জানান, কাজ শুরু করতে মাত্র ১ লাখ টাকা মূলধনের জন্য তিনি অনেক এনজিওতে ধরনা দিয়েছিলেন। অনেক সরকারি-বেসরকারি ব্যাংকে চেষ্টা করেও ঋণ পাননি। পরে কয়েকজন বন্ধুর সহায়তায় একটি পুরাতন ল্যাপটপ আর একটি ডেক্সটপ পিসি দিয়ে কাজ শুরু করেন। তার পরের ইতিহাস কষ্ট, পরিশ্রম আর সাফল্যের।
একই সাফল্যগাথা ওয়েব ডেভেলপার আমানুর রহমান সুমন ও গ্রাফিক ডিজাইনার বেলালের। রংপুরে প্রতিষ্ঠিত বেলালের প্রতিষ্ঠান ক্লিপিং বিডি ডটকমে কাজ করছেন ৪০ জন। কর্মচারীর বেতনসহ সব খরচ মেটানোর পরও প্রতি মাসে তার আয় থাকে কমপক্ষে দেড় লাখ টাকা। হাজী দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে টেলিকমিউনিকেশন অ্যান্ড ইলেট্রনিকস ইঞ্জিনিয়ারিং শেষ করে কোনো চাকরির চেষ্টা না করে রংপুরে বসে আউটসোর্সিং শুরু করেন আমানুর রহমান সুমন।
সুমন শুধু মোটা অঙ্কের টাকাই উপার্জন করছেন না; অসংখ্য বেকারের অর্থ উপার্জনের স্বর্ণ দুয়ার উন্মোচন করে চলেছেন তিনি। তিনি বলেন, সরকার চাইলে দেশের প্রতিটি অঞ্চলে ফ্রি আউটসোর্সিং প্রশিক্ষণ কেন্দ্র স্থাপন করতে পারে। এতে প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা আয় হবে এবং দেশের বেকারত্ব দূর করতে বেশি দিন লাগবে না। এ জন্য তারা সরকারের সহযোগিতা চান।